SAMSUNG GALAXY TAB T1000 BANGLA REVIEW

আজকের এই পোস্টে আমরা কথা বলবো SAMSUNG GALAXY TAB T1000 কে নিয়ে জানাবো সকল খুঁটিনাটি বর্ণনা, তো এই জন্য পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

বর্তমানে SAMSUNG GALAXY TAB T1000 ট্যাবলেটটি বিভিন্ন মার্কেটে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৪,০০০ টাকায়।

তো প্রথমেই বক্সে কি আছে সেগুলি জেনে নেয়া যাক।

তো বক্সটি খুললেই থাকছে স্যামসাং গ্যালাক্সি ট্যাবলেট টি, এবং এরপর থাকছে একটি নরমাল ৭ ওয়ার্ড এর চার্জার, কিছু পেপার, এবং সর্বশেষ ওয়ারেন্টি গ্যারান্টি পেপার।

তো এবার চলুন ট্যাবটির লুক নিয়ে কথা বলা যাক।

৪৬৭ গ্রামের এই ট্যাবটি ফ্রন্ট প্যানেলটি প্লাস্টিকের তৈরি এবং ব্যাক প্যানেল প্লাস্টিকের।

তবে বেশ শক্ত পোক্ত মনে হয়েছে।

১০.৪ ইঞ্চির এই ট্যাবটি আকারে বেশ বড় কিন্তু এক হাত দিয়ে বেশ ভালোভাবেই ধরা যায়।

তো এতে রয়েছে টিএফটি ডিসপ্লে যার রেজুলেশন ফুল এইচডি, এবং screen-to-body রেশিও ৫.২৩

ট্যাবটিতে রয়েছে স্যামসাংয়ের ৯৬১১ এক্সিনোস প্রসেসর যেটা আমরা অনেক স্মার্টফোনেও দেখেছি।

এবং এটার টেন ন্যানোমিটার আর্কিটেকচারের তৈরি একটি প্রসেসর। যেটা day-to-day রেগুলার কাজগুলো খুব ভালোভাবেই হ্যান্ডেল করতে পারবে।

যদিও গেমিং এ খুব একটা ভালো না। তবে রেগুলার যেসব কাজ আছে যেমন ইউটিউব ফেসবুক ছোটখাটো গেম খুব ভালো ভাবেই চলছিল কোন সমস্যা ছাড়া।

তো এর পাশাপাশি রয়েছে ৬ গিগাবাইট র্যাম এবং ৬৪ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজ,

অন্যান্য স্যামসাং ডিভাইস এর মতই এখানে ব্যবহার করা হয়েছে ওয়ান ইউ আই টু পয়েন্ট জিরো।

জা মাল্টিটাস্কিং মোটামুটি ভালই পারফরম্যান্স দিয়েছে।


আমি একসঙ্গে দুই তিনটা ট্যাব ওপেন করে চালিয়েছি কোন রকম সমস্যা ছাড়াই,

পাবজি খেলেছি মিডিয়াম সেটিংসে মোটামুটি ভালই চলছিল।

তবে হাই সেটিং এ কোন ভাবেই খেলা যাবে না। তবে ফ্রী ফায়ার আরামসে খেলা যায় কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই।


গেম খেলার সময় বেশ সুন্দর একটা ফিল পাওয়া যায় এবং এর কন্ট্রোলগুলো ইজিলি অ্যাক্সেস করা যায়।

ট্যাবটিতে ব্যবহার করা এস পেনটি ম্যাগনেটিক এবং সাইড মাউন্টেড।

ট্যাবটিতে প্রিভিয়াসলি ইন্সটল করা কিছু ড্রইং অ্যাপ রয়েছে যেগুলো বাচ্চাদের ড্রইং এর বেশ কাজের।

এটাতে অনেক বেশি নেভিগেশনের মত আপনাকে দেখিয়ে দেখিয়ে দিবে কিভাবে ড্রইং করতে হয়। তো বাচ্চারা এটা দেখে খুব সহজে ড্রয়িং শিখতে পারবে।


এই ট্যাবলেটটির মেইন ক্যামেরা হিসেবে থাকছে ৮ মেগাপিক্সেল এর একটি ওয়াইড লেন্স, এবং ফ্রন্টে থাকছে ৫ মেগাপিক্সেল এর একটি ক্যামেরা।

যেহেতু টেব দিয়ে আমরা মূলত স্মার্টফোনের মতো ফটোগ্রাফি করি না, সেজন্য এখানে কোনো টপ লেভেল এর ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়নি।


তবে একেবারেই বাজে ক্যামেরা এটা বলব না মোটামুটি লেভেলের ছিল মানে কাজ চালিয়ে নেয়া যায় আর কি।

তবে ট্যাবের ক্ষেত্রে সবথেকে যেটা বেশি ইম্পর্টেন্ট সেটি হচ্ছে সাউন্ড কোয়ালিটি এবং সাউন্ড কোয়ালিটির দিক থেকে Samsung Galaxy TAB T1000 খুবই ভালো পারফরম্যান্স করেছে।

কারণ আপনি একই সঙ্গে দুইটা স্পিকার পেয়ে যাচ্ছেন।


এখানে পোর্ট হিসেবে থাকছে ৩.৫ মিলিমিটার অডিও জ্যাক এবং মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট।

সিম কার্ড ট্রে তে থাকছে একটি nano-sim এবং মাইক্রো এইচডি কার্ড স্লট যাতে ১২৮ জিবি মেমোরি পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে।

এছাড়া ট্যাবটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৪,০০০ মিলি এম্পিয়ারের একটি ব্যাটারি।

যেটা মোটামুটি একদিনের কাছাকাছি চলে যায় আর কি। তবে গেমিং করলে একদিন ও ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যাবে না। আর বক্সে থাকা ৭ ওয়াটের চার্জার দিয়ে চার্জ হতে প্রায় তিন ঘণ্টার মতো সময় লেগে যাবে।

তো একটা ট্যাবলেট এ যে বেসিক ফাংশনাল গুলো থাকার দরকার সবই মোটামুটি পাচ্ছেন,

মাত্র ৪,০০০ টাকার মধ্যে একদম টোটালি ট্যাব এক্সপিরিয়েন্সের জন্য আপনাকে অবশ্যই স্যামসাং এর উপরেই ডিফেন্ড করতে হবে। এবং Samsung Galaxy tab T1000 আমার মনে হয় খুব ভালো একটি অপশন আপনার জন্য।

close

Post a Comment

3 Comments

  1. আমার একটা অ্যাপ লাগবে আমার নাম্বার ০১৮১৪৫৭০৩৯২

    ReplyDelete
    Replies
    1. কি এ্যাপ লাগবে জানান

      Delete
  2. আমার একটা টেপ লাগবে আমার নাম্বার 01814570392 imo

    ReplyDelete

আপনার কোন অভিয়োগ/মতামত থাকলে, নিচে কমেন্ট বক্সে লিখুন । ধন্যবাদ