প্রথমে আইন সম্পর্কে একটু জেনে নিন: আপনি যদি অনলাইনে পণ্য কিনে প্রতারিত হন তাহলে দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে ব্যবস্থা নিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়েও দেওয়ানি আদালতে এবং প্রতারণার অভিযোগে ফৌজদারি আদালতে মামলা করতে পারবেন। এ ছাড়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করা যাবে। সেক্ষেত্রে আপনি যদি অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেন তাহলে ওই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হবে। আপনি সেই জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থ অধিদপ্তর থেকে ফেরত পাবেন।
দেওয়ানি বা ফৌজদারি আদালতে মামলা : প্রথমেই অনলাইনে প্রতারণার শিকার হলে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সাইট এবং কী ধরনের প্রতারণার শিকার হলেন তা সুনির্দিষ্টভাবে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে হবে। পরবর্তী সময়ে পণ্য কেনা বা হাতে পাওয়ার পর সেটার রশিদ বা ক্যাশমেমো দিয়ে জেলা জজ আদালতে অথবা মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে মামলা করতে পারবেন। আদালত আপনার অভিযোগ যাচাই-বাচাই করবেন। এবং অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দিবেন। যদি আদালতে আপনার অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয় তাহলে আদালত অর্থদণ্ড বা কারাদণ্ড দিতে পারেন অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে ।
ভোক্তা অধিকারে অভিযোগ : অনলাইনে পণ্য ক্রয়ের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করতে হবে। অনলাইনে প্রতারিত হওয়ার পর ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করাটা সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ। সেক্ষেত্রে আপনি ভোক্তা অধিকারের কার্যালয়ে গিয়ে অথবা ওয়েবসাইটে দেওয়া মেইলের মাধ্যমে অভিযোগ করতে পারবেন। সেই অভিযোগের পরে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর অনলাইন প্রতিষ্ঠান ও অভিযোগকারীর কাছে পোস্টাল রশিদের মাধ্যমে চিঠি পাঠাবেন।
দুই পক্ষ থেকে শুনানি শেষে অধিদপ্তর ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পেলে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা প্রদানের আদেশ দেবে। এ ক্ষেত্রে জরিমানা হিসেবে যে টাকা আদায় করা হবে তার ২৫ শতাংশ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তাকে দেওয়া হবে।
0 Comments
আপনার কোন অভিয়োগ/মতামত থাকলে, নিচে কমেন্ট বক্সে লিখুন । ধন্যবাদ